শীতে গাঁদা ফুল চাষ

প্রকাশঃ ডিসেম্বর ১২, ২০১৫ সময়ঃ ১:০১ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:৪৫ পূর্বাহ্ণ

Urbana_Illinois_park_20070928_img_2120-cropফুল চাষ বা ফুলের বাগান করা অধিকাংশেরই অন্যতম শখের মধ্যে একটি। তবে আধুনিক ঢকা শহরে বাগান করার মতো জায়গা কোথায়। তাইতো বাসার ছাদ বা বারান্দার সাজানো টবই একমাত্র আশ্রয়।

এই শীতে আপনিও সাজিয়ে তুলতে পারেন আপনার ছোট্ট বাগানটি। নানা রকমের শীতফুলে। সেক্ষত্রে খুবই কম খরচে এবং সল্প জায়গার মধ্যেই গাঁদা ফুলে দিয়ে আপনার সখের বারান্দাটি সাজিয়ে তুলতে পারেন। সরাসরি বীজ বা কাটিংয়ের মাধ্যমে গাঁদার চারা উৎপাদন করা সম্ভব। তবে বাগান নিয়ে বড়সড় পরিকল্পনা না থাকলে এই ঝামেলায় না যাওয়াই ভালো। তাছাড়া ভালো চারা পেতে নার্সারীতো আছেই। এক্ষেত্রে গাঁদার জাত বাছাই কিন্তু করা খুব জরুরি। সাধারণত আমাদের দেশে দুই জাতের গাঁদা ফুল পাওয়া যায়।

আফ্রিকান গাঁদাঃ এই শ্রেণীর গাঁদা হলুদ রঙের, গাছের আকৃতি বেশ বড়। উল্লেখযোগ্য জাতসমূহ হলোঃ ইনকা, গিনি গোল্ড, ইয়েলা সুপ্রিম, গোল্ডস্মিথ, ম্যান ইন দি মুন, ইত্যাদি।

ফরাসি গাঁদাঃ এই শ্রেণীর গাঁদা কমলা হলুদ হয়ে থাকে। এজন্য এদের রক্তগাঁদাও বলা হয়। এর গাছ ক্ষুদ্রাকৃতির। পাপড়ির গোড়ায় কালো ছোপ থাকে। উল্লেখযোগ্য জাতসমূহ হলোঃ মেরিয়েটা, হারমনি, লিজন অব অনার, ইত্যাদি।

এছাড়াও সাদা গাঁদা, জাম্বো গাঁদা, হাইব্রিড এবং রক্ত বা চাইনিজ গাঁদার চাষ হয়ে থাকে।

টবে গাঁদাফুল চাষের ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে মাটির উর্বরতা  ঠিকঠাক আছে কিনা। অন্যথায় আপনার শখের বাগানে সাধের ফুলটি ধরবে না। সেজন্য টবের মাটি উর্বর করা খুব জুরুরি । আপনি চাইলে খুব সহজেই কাজটি করতে পারেন। মাটির সাথে চায়ের পাতা  (চা বানানোর পর যেটা অবশিষ্ট থাকে) মিশিয়ে উর্বরতা বাড়ানো যেতে পারে  অথবা শাকসবজির কোটার পর যেগুলো অবশিষ্ট থাকে। এই উপাদান গুলো ভালো জৈব সার হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও রাসায়নিক সারও ব্যবহার করতে পারেন ।

 

প্রতিক্ষণ/এডি/জেবিএম

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

December 2025
SSMTWTF
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031 
20G